কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘রক্তাত্ত জুলাই -২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষককে প্রাণ নাশের হুমকির ঘটনায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) আবেদন করেছেন শিক্ষক মুতাসিম বিল্লাহ। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের হাসান কামরুল।
শনিবার (১২ জুলাই) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) আবেদনটি করেন তিনি।
সাধারণ ডায়েরিতে শিক্ষক মুতাসিম বিল্লাহ অভিযোগ করেন, আলোচনা সভা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী বিবাদী হাসান কামরুল (৩৬) উপদেষ্টা ও প্রধান অতিথি আসিফ মাহমুদ সঞ্জীব ভূঁইয়াকে মুরাদনগর উপজেলা থেকে ফুল দেওয়ার বিষয়ে আমাকে অবহিত করে। আমি উপ-উপাচার্য মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি (উপ-উপাচার্য) আমাকে অল্প সময়ে ফুল দেওয়ার সুযোগ নাই বলে জানান। এটি আমি বিবাদী হাসান কামরুলকে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, জোরে হুংকার ছেড়ে বলে 'উপ-উপাচার্যের খবর আছে'। আমি তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে সে আমার উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। হাত উচিয়ে, চোখ রাঙিয়ে আমাকেও একই হুমকি দেয়। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মুত্তাসিম বিল্লাহ বলেন, গতকালকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী হাসান কামরুল প্রথম থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন নেগেটিভিটি ছড়াচ্ছিল। আমাকে নেওয়া এর আগে সোটাল মিডিয়া বিভিন্ন আজেবাজে কথাবার্তা বলেছে। কিন্তু, গতকালের অনুষ্ঠানে যখন আমাদের প্রধান অতিথি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এসেছিলেন। আমি সঞ্চালক হিসেবে ছিলাম। যখন অনুষ্ঠানটি শুরু হয় কিছুক্ষণ পর পর ওনি এসে আমাকে বলছিলেন যে মুরাদনগর এর শিক্ষার্থীরা প্রধান অতিথিকে ফুল দিতে চাচ্ছে। আমি যখন বিষয়টি আমাদের উপ-উপাচার্যকে জানাই।
তিনি (উপ-উপাচার্য) বলেন, যে অনুষ্ঠান একটু পরিচয় শেষ হয়ে যাবে তারা যাতে গেটের সামনে গিয়ে ফুল দেয়। তখন এসে বলে যে উপ-উপাচার্যের খবর আছে এবং আমি যখন তাকে শান্ত হতে বললাম আমাকেও সে আমাকে আঙুল উঁচিয়ে একই কথা বলে যে 'আপনারও খবর আছে'। তাই আমি এসব বিষয় চিন্তা করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় জিডি করি।'
এবিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিরস্ত্র) টিটু কুমার নাথ বলেন, স্যার সম্ভবত থানায় গিয়েছেন। কিন্তু, আমার কাছে এখনো কোনো কাগজ আসে নাই। আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এর আগে, গতকাল (১১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি অবহিতকরণ ও বিচারের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দেন শিক্ষক মুতাসিম বিল্লাহ। সেটিকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত হাসান কামরুলের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।